ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গল্প ৩ . গল্প:নীল শাড়ি

7:11 AM

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গল্প ৩
.
গল্প:নীল শাড়ি।
.
বিদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে অনেক
দিন পর ঢাকায় নিজ বাসায় এলো
রাতুল,মায়ের আদর আর বাবার
ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। যে বাসা খালি
লাগছিলো তা যেনো ভরে উঠেছে রাতুল
আসাতে। এখন সবাই রাতে এক সাথে খাবার
খায়,ঘুমানুর আগে একটু গল্প।টুকটাক
বেপারেই রাতুলের পরিবার দারুন খুশি।
.
এক বিকেলে চায়ের আসোরে কথায় জমে
উঠেছে,রাতুল বললো :
:মা আমি ভাবছি,একটু ঘুরেআসি
:এতদিন তো অনেক ঘুরলি, আর কি ঘুরবি।
:যাই না মা,
:ভাবলাম,তুই এসে বাবার বিজনেস
সামলাবি,তানা।
.
বাবা :আরে,ও যেতে চাচ্ছে যাক না,মাইন্ড
ফ্রেস হবে,পরে না হয় কাজে ঢুকিয়ে দিবো।
মা:এতদিন পর এসেছে,এখনি আবার দূরে
যাবে।
বাবা:পালিয়ে তো যাচ্ছেনা,হাহা।ছেলে
মানুষ ঘুরে আসুক।তো রাতুল তুই কবে যাবি।
রাতুল:কাল ই চীটাগাং যাবো ভাবছি,আর
তুমি এতচিন্তা করোনা তো,ফোন তো
আছেই তাছাড়া আমি বড় হয়েছি।
মা:কই বড় হয়েছিস!!
হাহাহা।।।
মা:বাপ ছেলে দুজনই হাসচ্ছো যে,হাসির
কি বললাম।
রাতুল:না মা,কিচ্ছুনা।চা দারুন
বানিয়েছো।
.
পরদিন চীটাগাং এর উদ্দেশ্য এ বের হয়
রাতুল।একা একা ঘুরা ঘুরি ভালোই লাগে
রাতুলের, আর যেখানে যায় সেখানে অনেক
চাচা মামা ভাই বন্ধু পাতিয়ে ফেলে,এই
একটা জিনিষ খুব ভালো মতই পারে রাতুল।
.
প্রথমদিন গিয়েই সমুদ্রসৈকত এ গেলো
সারাদিন,পরদিন কোথায় না গিয়ে
রাস্তাঘাট আর মানুষ দেখবে বলে বের হলো
রাতুল।এমন বিষয়ে দারুন কৌতূহল রাতুলের,
তাই বিকেল বেলায় বের হয়ে গেলো।
রাস্তায় রাস্তায় হেটে বেরাচ্ছে, হঠাত
দেখলো সামনে একটা ছোট বাচ্চা,তার
সামনে ট্রাক।কিছু না ভেবেই দৌড়ে গিয়ে
বাচ্চাটাকে ট্রাকের সামনে থেকে টান
দিলো কিন্তু নিজেই বিপদে পড়ে গেলো।
ট্রাকের সাথে হাতের ঘসা লাগাতে হাত
ছিলে গিয়েছে, পিছন থেকে বাচ্চা ছেলের
বাবা এসে বাচ্চাকে ধরে।রাতুলের হাত
কেটে যাওয়ায় বললো,
:অনেকখানি কেটে গেছে দেখি
:না না কিছু হয়নি চাচা,
এটা বললেও অনেক খানি কেটে যায়,তাই
লোকটি জোড় করে রাতুলকে তার বাসায়
নিয়ে যায়।
.
গ্রামের অনেক ভিতরে তার গ্রাম,যেতে
যেতে সন্ধা হয়ে যায়।তাদের বাসায় গেলে
অন্ধকারে কিছুই বুঝা যায়না
ঠিকমতো,কিন্তু পুরান আমলের ২তালা
বাসা তা ভালো বুঝা যায়,চারপাশ হালকা
ঝোপ ঝার,আর রাতের ঝি ঝি ডাকছে।
.
বাসায় এসেই রাতুল কে এক রুমে এনে
বলে,"বসো বাবা,আমি আসতাছি,তুমি আজ
যা করছো তার আমি কিছুতে ভুলতে পারুম
না"রাতুল চুপ করে বসে আছে।মাথা ঝিম
ঝিম করছে,জর আসবে নাকি।কিছুই বুঝতে
পারছেনা,হাতে খুব বেথা।গরমকাল,কার
েন্ট তবু রাতুলের ঠান্ডা লাগছে।রুম টাতে
আলো নেই,লোকটি কি আলো আনতে গেলো
নাকি।
.
হালকা নুপুরের আওয়াজ ভেসে
আসচ্ছে,সাথে হালকা আলো উপরে উঠে
আসচ্ছে।এরকম ভুতুড়ে পরিবেশে স্বাভাবিক
ভাবে ভয় লাগছে রাতুলের।
হালকা বেগুনী রংয়ের শাড়ি পরাএক
মেয়ে,মোম বাতি নিয়ে এসেছে।অপরূপ
দেখতে,এত সুন্দর কেনো লাগছে তা বুঝতে
চাইছে রাতুল,হয়তো মুখের পাশে মোম
বাতির আলো পরেছে তাই এত সুন্দর লাগছে।
.
আমার নাম তুতুরী, দেখি কোথায় কেটে
গিয়েছে।তারাতারি অসুধ না দিলে
ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।
বেন্ডেজ করতে করতেই তুতুরী বললো,"আপনি
আজ যা করেছেন,সত্যি তার জন্যে ধন্যবাদ।
আমার ভাইটা অনেক দুষ্ট,তাই সারাক্ষন
ছটফট করতেই থাকে।এতক্ষন রাতুল চুপচাপ ই
ছিলো, এই মেয়েকে দেখে এতটাই মুগ্ধ যে
কিছুও শুনেনি।হঠাত সেই মেয়ের চিতকার
শুনে চমকে উঠলো রাতুল।
:কি কি কি হয়েছে আপনার?
:টিকটিকি,
:কই,
:আপনার গায়ের উপর ছিলো।
:এই দেখুন, নেই।ছিলো হয়তো,চলে গিয়েছে।
:ও আমি দুঃখিত।
:দুঃখিত কেনো হবেন,
:না এম্নি
.
তুতুরী যাওয়ার জন্যে পা বারিয়ে পিছনে
ফিরে বললো,"আচ্ছা, বসুন। আজ মনেহয়
আমাদের এখানে থাকতে হবে আপনাকে,
এমনিও অনেক রাত হয়েছে।
.
রাতে তীব্র জর এসে যায় রাতুলের, তুতুরীর
মা বাসায় না থাকায় সব কিছু তুতুরীকেই
করতে হয়।রাতুলের দেখাশুনা অও তুতুরীকেই
করতে হচ্ছে,সারা রাত ধরে মাথায় কখনো
পানি ঢেলেছে কখনো জলপট্টি দিয়েছে।
যখন জর কমেছে তখনি মাথা বিছানায়
ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছে।
.
খুব ভোরে,রাতুলের ঘুম ভাংলে দেখতে পায়
তুতুরীকে,বিছানার নিচা হালকা মাথা
ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে আছে।ইচ্ছে করছে কোলে
তুলে বিছানায় শুইয়ে দিতে,সেই অধিকার
এখনো পাইনি। তাই হালকা করে কপালের
থেকে চুল সরিয়ে দিয়ে বিছানা ছেরে উঠে
বারান্দায় গেলো রাতুল।মনেহচ্ছে জীবনের
নতুন সকাল শুরু হয়েছে।
.
টেবিলে নাস্তা খাওয়ার সময় রাতুল বললো,
:চাচা,অনেক আপ্যায়ন করেছে,আমি কখনো
ভুলবোনা।আজই হোটেলে ফিরে যাবো।
:না বাবা,যত দিন চীটাগাং আছো এখানে
থাকবে,কোন প্রবলেম হবেনা,এতুটুক কথা
রাখো বাবা।
:আচ্ছা,
বলেই রাতুল তুতুরীর দিকে তাকায়,কপাল
কুচকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে।
মাথা নামিয়ে ভাবে,কি বেপার মেয়েটা
এভাবে কেনো তাকিয়ে আছে।
.
সারাদিন ঘুরে দুপুরে আসে রাতুল,রুমের
সামনেই তুতুরী দারিয়ে। তাকে দেখে
মাথা নিচু করে ঢুকে পরে রাতুল।আজকেও
তুতুরী শাড়ি পরেছে,কি সুন্দরই না লাগে।
:কি বেপার সারাদিন কোথায় ছিলেন!
:কেনো কি হয়েছে।
:কেনো জিজ্ঞেস করতে পারিনা?
:হুম,সারাদিন বাহিরে ছিলাম।
জাইহোক,সকালে এত রেগে তাকিয়ে ছিলে
কেনো?
:কেনো রাগবো না,আমাদের আপ্যায়ন কি
ভালো লাগেনা?
:হুম।
:আমার বাবুর সাথে তো আপনার দেখা
করাইনি।
:বাবু?
:হুম বাবু,
এসব শুনে রাতুলের মুখ কালো হয়ে
গেলো,কি হচ্ছে এসব।শহরে মেয়েদের
বিলায় কুত্তারে বাবু ডাকে,এর কি সেরকম
নাকি তার বাচ্চা কাচ্চা আছে!
:বাবুউউউউউ।
অমনি কোথা থেকে এক ছোট বানরের
বাচ্চা লাফিয়ে তুতুরীর কোলে এসে বসলো।
রাতুলের মুখ সত্যি তখন হা হয়ে গিয়েেছ।
:বাবু যাও,আংকেলের কোলে যাও।
:না না থাক।
বানর এসে কোলে না উঠে,মাথায় উঠে
পরলো।ভয়ে রাতুল মাথা নারাতে
পারছেনা,মুখে জোর করে হাসি ভাব
আনতে চাইছে তাও পারছেন।এসব দেখে
তুতুরী হেসে গরাগরি খায় যেনো।
.
পরদিন সকালে তুতুরী বাবুকে খুজচ্ছে,ডাকে
কোথায় পায়না।
রাতুলের রুমে গিয়ে দেখে রাতুলের সাথে
ঘুমাচ্ছে।ফিরে আসবে কি ভেবে যেনো
পিছে ফিরে রাতুলের চুলে হালকা বুলিয়ে
দেয়ে চলে যায়,রাতুল মুচকি হাসে কিন্তু
উঠেনা।
.
সেদিন বিকেলে ছাদে দারিয়ে আছে
তুতুরী, তখনি বাবু চিঠি নিয়ে আসে,যা
ভেবেছিলো তাই,বাবুরে পটিয়ে চিঠি
পাঠিয়েছে কিন্তু কিছুটা বেতিক্রম,
তুতু,
কি বলবো জানিনা,ভুল সঠিক কিছুই
জানিবা।আমার মনে তোমার ছবি শুধু বার
বার চোখের সামনে আসচ্ছে,আসোলে আমি
তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।যদি
আমার ডাকে সারাদাও তো ১২টায় পাশের
পুকুর পারে আসবে,তাহলে আমি উত্তর পেয়ে
যাবো।যদি না আসো,ভোর বেলায় আমার
খুজে পাবেনা আর।
ইতি,
রাতুল।
চিঠি পরেই টুকরো করে বাতাসে উড়িয়ে
দেয়,রাত হতেই রুমে দরজা দিয়ে বসে।
.
খাওয়াদাওয়ার সময় রাতুল তুতুরী কে
দেখলোনা,মনে নানা প্রশ্ন ভয় তবু
অপেক্ষায় আছে রাতের।
.
রাত ১১:৫০.
তুতুরীর হাত কাপছে,কি করবে বুঝতে
পারেনা, কিন্তু রাতুলকে হারাতেও
চায়না।অনেক ভেবে আস্তে আস্তে
বাহিরে পা বারায়।
দোতালা থেকে নিচ তালায় নামার পর গা
শিরশিরেয়ে উঠে।এত রাত,প্রতিটি পা
সাবধানে ফেলে এগিয়ে যায় পুকুর পারে।
সেখানে কারো বসে থাকার ছায়াটুক
দেখতে পায়।
:আসো তুতুরী।পাশে বসো।
তুতুরী চুপচাপ পাশে বসলো।
রাতুল তুতুরীর আরো পাশে এসে খালি
জায়গায় পূরণ করে বলে,
:আমি জানতাম তুমি আসবে।
:কিভাবে।
:আমি তোমাকে যে সত্যি ভালোবাসি
তাই।
:হুম।
:কিছু বলবেনা?
:আমিও তোমাকে ভালোবাসি।
রাতুল তুতুরীর হাত ধরে,কোমল ঠান্ডা হাত।
জোরে চাপ দিয়ে বলে,
:কখনো চলে যাবেনা তো।
:না,আমি তোমাকে ভীষন ভালোবাসি।
:এই নাও।
:কি।
:দেখো।
:শাড়ি,কি রংয়ের।অন্ধকারে ত কিছুই
দেখতে পাচ্ছিনা।
:তুমি আন্তাজ করো তো,কি রং।
:নীল?
:জি,কিভাবে পারলে।
:মনে আসলো।
এভাবেই কথা চলে,আযান শুনে চমকিত হয়ে
দুজন অবাক হয়,হাত ছেরে চলে যায় তুতুরী
আধো আলো অন্ধকারে। সেখান বসে থাকে
রাতুল,সূর্যে দেখার অপেক্ষায়।
.
পরদিন সকালে রাতুল বেগ গুছায়,ঢাকায়
যাওয়ার জন্যে।
:কই যাও।
:ঢাকায়
:হঠাত?
:হঠাত না,যেতে হবেনা?অনেকদিন তো
থাকলাম।
শুনেই চুপয়ে যায় তুতুরী,
:কি বেপার, মুখ পেচার মত করে রাখলে
কেনো!আরেকবার যখন আসবো তখন
তোমাকে বউ করেই নিয়ে যাবো।
মুচকি হাসে তুতুরী, তবু অজানা ভয় ঘিরে
ধরে।
.
রাতুল যাওয়ার ২দিন পর,
কোন খোজই পায়নি রাতুলের।
তুতুরী অস্থির হয়ে উঠেছে,নানাকিছু মনে
এসে যায়।তবু ভিজা চোখে দূর আকাশে
তাকিয়ে অপেক্ষা করে।
:কিরে,দিন দিন মন মরা হয়ে যাচ্ছিস
কেনো?
:কই না তো মা।
:তোর জন্যে ভালো একটা বিয়ের সংবাদ
এসেছে।
:আমি বিয়ে করবোনা মা।
:এরকম বলিসনা, বিয়ে তো করতেই হবে।কাল
আসবে তোকে দেখতে।রেডি থাকবি।
চোখ যেনো আরো ভিজে উঠে,
বড় মেঘের ভেলা দূর থেকে দূরে ভেসে যায়।
.
তুতুরী কে দেখতে এসেছে,
সবারই পছন্দ হয়েছে শুধু শেষ মূহুতে ছেলে
আলাদা কিছু কথা বলতে চায়।
: ভালো আছেন।
:জি।
:আপনি কি এই বিয়েতে রাজি আছেন?
:জি,আসোলে আমি প্রেগনেন্ট,বিয়
ে করাটা জরুরি।
পরে যা হওয়ার তাই হলো,বিয়ে ভেংগে
গেলো,তবু তুতুরী রাতুলের আশায় থাকে।
কোন কোন রাত কেদে বালিস ভিজায়,কোন
রাত রাতুলকে না ভুলে যাওয়ার কারন খুজে।
.
এক মাস পর।
আজ সেই নীল শাড়ি পরেছে তুতুরী।কপালে
নীল টিপ,পুকুরে পা নারিয়ে খেলা
করছে,আজ মন ভালো। মনেহচ্ছে রাতুল গা
ঘেসে বসে আছে।
:আপু আপু,
:কি হয়েছে।
:তারাতারি আয়,মা ডাকে।
:কেন?
:মেহমান এসেছে।জলদি চল।
:আমি কি করবো,
:না গেলে খারাপ হবে,চল তারাতারি।
তুতুরী ছোট ভাইটা টেনে নিয়ে
যায়,বাড়িতে অনেক মানুষ, এত মানুষ আসলো
কোথা থেকে। কারাই এরা,কখনো তো
দেখিনি।
:কই তুতুরী।
:কি মা,কারা এরা।
:পরে বলবো,এই শাড়ীতে তো তোকে ভীষন
মানাচ্ছে,যা চোখে কাজল দিয়ে আয়,চোখ
গুলা কেমন যেনো লাগছে।
:কিন্তু মা কি হয়েছে।
:ঢাকা থেকে ছেলের পরিবার এসেছে
তোকে দেখতে।
:ও
.
তুতুরী দোতালায় নিজ রুমে চলে যায়,নীল
চুরি পরে। চোখে কাজল দিতে
পারছেনা,চোখ ভিজে আসচ্ছে।
.
এতগুলো মানুষের সামনে চুপচাপ বসে আছে
তুতুরী, একবারের জন্যেও মুখ তুলেনি।
তুতুরীর মা বাবা খুব খুশি।আজই নাকি
কাবিন হয়ে যাবে।দেখা শেষে ভিতরে
গিয়েই সোজা চলে যায় পুকুর ঘাটে।
পানিতে পা দুলিয়ে বসে থাকে আধো
অন্ধকারে, বাসাতে হইচই এখান থেকে শুনা
যাচ্ছে,চোখ আর ভুজে আসেনা,সব জল
গরিয়ে পরতে থাকে,ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে
থাকে।তখনি একটা হাত তুতুরীর হাত ধরে
শক্ত করে,চমকে তাকায় তুতুরী।
:রাতুল। তুমি?
আর কিছু না বলেই জড়িয়ে কাদতে থাকে,
:কেদোনা প্লিজ।
:কোথায় ছিলে এতদিন।
:আমার ফোন হারিয়ে যায়,নাম্বার খুজে
পাইনি।আর,
:আর কি?
:তোমাকে সারপ্রাইজ দিতেই এত দিন পর
সবাইকে নিয়ে এলাম।
:তুমি কি বুঝোনি,আমি হারিয়ে
যাচ্ছিলাম।
:সেই বিশ্বাস আমার ছিলো তোমার
উপর,কখনো হারাবেনা।
:আর কখনো এভাবে যেয়োনা প্লিজ।
:আর যাবোনা।
.
দূর থেকে তুতুরীকে ডাকতে থাকে তার
মা,,মুচকি হেসে তুতুরী উঠে যায়।
:তারাতারি এসো,বউয়ের সাজে দেখার
জন্যে আমি কিন্তু আর অপেক্ষা করতে
পারবো না।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »

Popular Posts