Showing posts with label Romantic Life Story. Show all posts
Showing posts with label Romantic Life Story. Show all posts

এভাবেই অনন্তকাল জড়িয়ে রাখবো তোমায়

5:42 PM Add Comment

এই ওঠো ! কয়টা বাজে সেই খেয়াল আছে? ঘুমাইলে আর হুশ থাকে না।
ওঠো - - - অফিসের টাইম হয়ে যাচ্ছে। এই বলে মিমি কিচেন রুমে চলে যায় নাস্তা রেডি করতে।

অর্ক, মিমি এবং তাদের একমাত্র মেয়ে " আইরা" কে নিয়ে তাদের সুখের সংসার।
গতবছর তাদের এই সুখের সংসার আলোকিত করে এসেছিল আইরা। 

ঠিক আজ থেকে ৮ বছর আগে ভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে দুজন দুজনের সাথে পরিচয়।
প্রথম দর্শনেই মিমিকে অর্কের খুব ভালো লেগে যায়। তারপর থেকে মিমির পিছু নেয়া শুরু।

প্রথমে বন্ধুত্বের প্রস্তাব - মিমিও এই প্রস্তাব ফেলতে পারেনি, তারপর থেকেই বন্ধুত্ব। এরপর একটা সময় তারা বুঝতে পারে এটাকে শুধুই বন্ধুত্ব বললে ভুল হবে, এই যে বন্ধুত্ব থেকেও অনেক বেশী কিছু।
তারপর পড়াশুনা শেষে এই সম্পর্ক পরিনয়ে রূপ নেয়।

অর্ক এখন একটি প্রাইভেট ব্যাংকে জব করে, তাদের দিনগুলি ভালই কেটে যাচ্ছে।

একি! তুমি দেখি এখনো ঘুমাচ্ছ! আর বেশী সময় নেই, উঠো বলছি।
এবার অর্ক উঠে বসলো ! মিমি চলে গেলো টেবিলে নাস্তা দিতে।
অর্ক ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছে,

আবার মিমির ডাক " এই আসো, নাস্তা রেডি!
এইদিকে অর্ক রুমে টাই বাধার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মিমিকে ডাক দিলো অর্ক "এইদিকে আসো মিমি"

মিমি এসে দেখে অর্ক টাইটা গলায় ঝুলিয়ে বসে আছে।
মিমি রেগে বললো " সামান্য একটা টাই বাধতে পারো না" তুমি যে কি না """

অর্কঃ আমি কি ?
মিমিঃ পাগল একটা -
অর্কঃ হা , সেটা অবশ্য মিথ্যে বলো নি।
সত্যিই আমি একটা পাগল, তবে সেটা শুধুই তোমার জন্য।
মিমিঃ হইছে! থাক! আমি জানি তো!
অর্কঃ কি জানো?
মিমিঃ এই যে আমাকে কতটা ভালোবাসো।
অর্কঃ হা, তুমি জানো - তবে আমার এই ভালবাসা তুমি যতটুকু জানো, তার থেকে হাজারগুন বেশী।
মিমিঃ অনেক হয়েছে আমার পাগলটা, এখন তো এইদিকে আসো।
অর্কঃ কেন!
মিমিঃ তোমাকে মারবো। আসো বলছি।

তারপর মিমি এগিয়ে গিয়ে অর্কের টাইটা বেধে দিলো।
তারপর অর্কের নাকটা টেনে বললো " আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি অর্ক।
তুমি পাশে আছো বলেই তো, প্রতিদিন আমার আকাশে একটা করে সূর্য উদিত হয়।
আর এটাও সত্যি যে, আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে হ্যাপি একটা মেয়ে।
আমি গর্ব করে বলতে পারি " তুমিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী।

তারপর অর্ক মিমিকে একটা চুমু খেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো এবং বললো "এভাবেই অনন্তকাল জড়িয়ে রাখবো তোমায়।

অনেক হয়েছে,এখন চলো- নাস্তা করে অফিসে যাবে! এই বলে অর্ককে নিয়ে নাস্তা করতে গেলো।
এইভাবেই অর্ক আর মিমির সুখের দিনগুলো কেটে যেতে লাগলো।।

পৃথিবীতে এই অর্ক এবং মিমিদের সংখ্যা হয়তো কম, তবে সেইসব অর্ক এবং মিমিদের ভালবাসার প্রতি অজশ্র শ্রদ্ধা... যারা এই প্রকৃত ভালবাসা কে এখনো হৃদয়ে ধারন করে টিকিয়ে রেখেছেন...

ভালবাসার অপর নাম বিশ্বাস , আর বিশ্বাসেরই আরেক নাম সেক্রিপ্রাইস

5:41 PM Add Comment


মাথা গরম করে হটাৎ করে একটা রিলেশন ভেঙ্গে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিবেন না।
আজ হয়তো যাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, যাবার আগে অন্তত একবার ভাবুন তো ঠিক এই মানুষটার মতো আরেকজন মানুষ কি আপনার লাইফে আসবে ?
ঠিক এই মানুষটার মতো এতো ক্যায়ারিং কেউ হবে ?
রাগ করলে রাগ ভাঙ্গাতে নিজের সর্বচ্চটা দিয়ে আপনার মুখে হাসি ফুটাতে পারবে ?

হয়তো না !!

তাই একটা রিলেশন ব্রেকআপ করে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে নিজেকে একাকীত্বের সাগরে ডুবাবেন না ...।
রাগ করলে বুঝান - একবার নয়! বারবার -
একজন অপরজনের ইচ্ছেগুলো কে মূল্য দিন।

অনেকেই বলেন - তার পছন্দের সাথে আমার পছন্দের কোন মিল নেই ! ক্যামনে তার সাথে রিলেশনটা কনটিনিউ করি unsure emoticon

ভাই থামেন - সবার সাথে সবার সব পছন্দ কখনোই মিলে না, আর মিলবেও না।
সেক্রিপ্রাইস বলে একটা কথা আছে , এটার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
ভালবাসবেন , আর সেক্রিপ্রাইস করতে পারবেন না - এটা তো হয় না।

ভালবাসার অপর নাম বিশ্বাস , আর বিশ্বাসেরই আরেক নাম সেক্রিপ্রাইস ।
২ টাই ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত ।

মনে ভালবাসা থাকলে ২ জন ২ নৌকার মাঝি হয়েও রিলেশন কনটিনিউ করা যায়।
শুধু একটা জিনিসই দরকার - "" দু"জনের মধ্যকার ভালবাসা"" heart emoticon

হয়তো সে মানুষটি আপনার কাছ থেকে ভালবাসি শব্দটা শুনার জন্যই অন্যপ্রান্তে অপেক্ষা করে আছে

5:33 PM Add Comment

ছেলেটির নাম আবির। সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে বের হয়েছে। 
চাকুরি খুজছে। কিন্তু হচ্ছে না। তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছে যদি হয়ে যায়। 
আবির যে বাসাটায় থাকে, তার সামনেই গলিতেই থাকে নীলাঞ্জনা। নীলাঞ্জনা বিবিএ করছে। সবেমাত্র ২য় বর্ষ পার করলো। ফ্যামিলি থেকে বিয়ে দেয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে নীলাঞ্জনার বাবা-মা। অবশেষে নীলাঞ্জনার বিয়েও ঠিক করে ফেলেছেন তার বাবা -মা। ছেলে এসে এনগেজমেণ্ট রিংও পরিয়ে গেছে। সামনের মাসেই বিয়ে। কিন্তু নীলাঞ্জনা এখনই বিয়ে করতে সম্মত নয়। সে আগে পড়াশুনা শেষ করতে চায়। কিন্তু মেয়ে বড় হলে সব বাবা-মা ই চায় মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিতে। আর সেই পথেই হেঁটেছেন তারাও।

একদিন বিকেলে কলোনি দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় আবিরের দৃষ্টিগোছর হলো বাসার বেলকনিতে দাড়িয়ে থাকা নীলাঞ্জনার দিকে। বান্ধবী সীমার সাথে এনগেজমেণ্ট নিয়ে কথা হচ্ছে। হটাৎ কি মনে করে কোন এককথায় দুজনেই হেসে উঠলো। এই হাসি দেখেই আবির অনেকক্ষণ ঠায় দাড়িয়ে নীলাঞ্জনার সেই মিষ্টিমধুর হাসি অবলোকন করেই চলছে। এমন সময় নীলাঞ্জনার চোখ পড়লো আবিরের উপর। আবির এবার একটু লজ্জাই ফেলো। লজ্জার ভঙ্গিতে একটা হাসি দিয়ে আবির সেই স্থান ত্যাগ করলো।

এরপর থেকে আবির নীলাঞ্জনাকে দেখার জন্য প্রতিদিন বিকেলে ওই রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। কখন নীলাঞ্জনা বাসা থেকে বের হয়ে বেলকনিতে এসে দাঁড়াবে। কখন একনজর নীলাঞ্জনাকে দেখবে। কখন নীলাঞ্জনার ভুবনছড়ানো হাসিটা দেখবে। নীলাঞ্জনাকে হাসতে দেখলেই অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করে আবিরের। বলতে গেলে ভালবেসেই ফেলেছে আবির নীলাঞ্জনা কে। প্রায় সময়ই নীলাঞ্জনার ভার্সিটি আসা যাওয়ার পথে ওরে ফলো করে। কিন্তু আবির কোনভাবেই জানাতে পারেনা নীলাঞ্জনাকে তার ভালবাসার কথা। নীলাঞ্জনাও এতদিনে বুঝতে পেড়েছে আবির তাকে ভালবাসে। নীলাঞ্জনাও কিছুটা দুর্বলতা অনুভব করছে আবিরের প্রতি। কিন্তু নীলাঞ্জনা চায় আবিরই তাকে প্রপোজ করে তাকে তার ভালবাসার কথা জানাক। কেউ কাউকে কিছু বলতে পারে না। আর এভাবেই কেটে যেতে লাগলো কয়েকটা দিন।

একদিন খুব মন খারাপ করে বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে নীলাঞ্জনা। হটাৎ এ্নগেজমেণ্ট এর রিংটা বেলকনি থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয় নীলঞ্জনা। ছুড়ে ফেলে আবার কি মনে করে যেন আবার রিংটা খুজতে বের হয়। কিন্তু খুজে পাচ্ছে না কিছুতেই। হতাত পিছন থেকে " আপনি কি এটা খজছেন?" আবির বলে উঠলো।
নীলাঞ্জনাঃ জী! আপনি এটা কিভাবে পেলেন?
আবিরঃ এইতো - এইদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম হতাত পায়ের কাছে এসে পড়লো।
নীলাঞ্জনাঃ ওহ! আচ্ছা।
আচ্ছা আপনার কি ডায়াবেটিস জাতীয় কোন রোগটোগ আছে নাকি? নীলাঞ্জনা বলে উঠলো।
আবিরঃ নাহ তো ! কেন বলেন তো ?
নীলাঞ্জনাঃ নাহ! এই রাস্তায় সবসময় হাটাহাটি করেন তো। তাই।
আবিরঃ ওহ আচ্ছা। রাস্তাটাই এমন, চাইলেই এড়িয়ে চলতে পারি না।
নীলাঞ্জনাঃ ওহ! তাই না ।

আবিরঃ তো কষ্টটা (রিং) যখন ছুড়েই ফেলেছেন আবার নিতে আসলেন যে?
নীলাঞ্জনাঃ একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে " সব কষ্ট কি চাইলেই ছুড়ে ফেলা যায়?
আবিরঃ যাবে না কেন! একটু সাহস লাগে, এই আর কি।
নীলাঞ্জনাঃ আবারো দীর্ঘশ্বাস নিয়ে " হুম"
আবিরঃ চা খাবেন ?
নীলাঞ্জনাঃ আসলে চা খাওয়ার অভ্যাস আমার নেই।
আবিরঃ সেটা তো আমারও নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে অন্য কোন এক্সকিউজ খুজে পাচ্ছি না। চলেন না , চা খাই।
নীলাঞ্জনাঃ আচ্ছা চলেন।

একটু হেটে গেলেই সামনে একটা ছোট চায়ের দোকান। দুজন গিয়ে সেখানেই বসলো।
আবিরঃ চাচা ! চা হবে?
দোকানদারঃ মামা লিকার তো শেষের দিকে। এক কাপ হবে কোনরকমে।
আবিরঃ আচ্ছা! ওই এককাপই দেন।

এই এইকাপ চা দুজনে ভাগ করে খায়। সেদিন থেকেই আবিরের সাথে ভালো একটা বন্ধুত্ব হয়ে যায় নীলাঞ্জনার। এরপর তারা প্রায়ই চা খেতে বের হয়। একসাথে দুজন ঘুরে বেড়ায় এখান সেখানে। কিন্তু কেউ কাউকে তার মনের কথা বলতে পারে না।

এরমধ্যে একদিন চা খেতে খেতে আবির নীলাঞ্জনাকে -
আবিরঃ তোহ ! এনগেজমেণ্ট তো হয়ে গেলো। বিয়েটা কবে করছো ?
নীলাঞ্জনাঃ জীবনেও না। ওইরকম একটা অচেনা ছেলেকে জীবনেও বিয়ে করবো না।
আবিরঃ হা তা ঠিক। কিন্তু অচেনা ছেলেই তো পরে চেনা হবে।
নীলাঞ্জনাঃ চেনার পরেই প্রেম হবে। বিয়ে করে চিনবো এটা হবে না।
আর তাছাড়া সারাজীবন তো এইরকমই কাউকে চিন্তা করে এসেছি।

নীলাঞ্জনা নানাভাবে বুঝাতে চাচ্ছে, সে কি চায়। কিন্তু আবির যেন কিছুই বুঝতে পারছে না।

কথা বলার ফাকেই আবির নীলাঞ্জনার সাথে তার কাপটা চেঞ্জ করে নেয় নীলাঞ্জনার একটু ঠোটের উষ্ণ ছোঁয়া পেতে। আর এই জিনিসটা আড় চোখে দেখে ফেলে নীলাঞ্জনা। দেখে উলটোদিকে তাকিয়ে একটু হেসে নিজেকে স্বাভাবিক করে নেয়।

এরমধ্যেই নীলাঞ্জনার বিয়ের সময় গড়িয়ে আসে। ২ দিন পরেই নীলাঞ্জনার বিয়ে।
নীলাঞ্জনা আবিরের মুখ থেকে ভালবাসার শব্দটি শুনতে আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে।
কিন্তু আবির যেন নির্বিকার। আবিরের মনে ভয় " যদি নীলাঞ্জনাকে হারিয়ে ফেলে"

২ দিন পর -

আবির বাসার সামনে এসে বেলকনির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে নিলাঞ্জনাকে খুজে।
কিন্তু আবির আর দেখে না সেই বেলকনিতে নীলাঞ্জনাকে সেই চিরচেনা জায়গায় দাড়িয়ে থাকতে।

আবিরের চোখে মুখে হতাশার চাপ। হারিয়ে খুজছে প্রিয় মানুষটিকে। কিন্তু আবির আর নীলাঞ্জনাকে খুজে পায় না। বুকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে আবিরের। অনুসুচনার আগুনে জ্বলে যাচ্ছে আবির। এখন আর একা একা চা খেতেও ইচ্ছে করে না।

এরমধ্যে আবিরের একটা চাকুরীর অফার লেটার আসে। চাকুরীর সুবিধার্থে তাকে এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। তল্পিতল্পা ঘুচিয়ে চলে যাবার সময় চা দোকানদারের সাথে দেখা -

দোকানদারঃ ভাইজান কি একবারের জন্য যাইতেছেন ?
আবিরঃ যে যায় সে একবারের জন্যই যায়।
দোকানদারঃ ভালো থাকবেন ভাইজান।

আবির চলে যায়...। কিন্তু সেখানে গিয়েও আবির এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে থাকতে পারে না নীলাঞ্জনা কে। সারাক্ষন হারিয়ে খুজে তাকে। নতুন চাকুরী এবং নীলাঞ্জনাকে হারানোর বেদনা নিয়ে কেটে যাচ্ছে আবিরের বিষণ্ণ দিনগুলো।

অবশেষে ৬ মাস পর আবির আবার ফিরে আসে তার আগের জায়গায়। কোনার চা দোকানটাতে গিয়ে-

মামা - এক কাপ চা দেন তো?
দোকানদারঃ বিস্ময় নিয়ে " ভাইজান আপনি এতদিন পর!!! কই আছিলেন এতদিন?
আরে ! আপনারে যে কতো খুজা খুজেছি। কিন্তু পাই নাই আপনারে আর।
আবিরঃ কেন!! কি হয়েছে?
দোকানদারঃ ওই যে কি যেন নাম ওনার ?
আবিরঃ কে? নীলাঞ্জনা আসছিলো ??
দোকানদারঃ জী ভাইজান। উনি আইসা আপনারে পাইয়া কতো কান্নাকাটি করে পরে আমার হাতে একটা চিঠি দিয়ে চলে যান।
আপনি খাড়ান , আমি চিঠিটা নিয়ে আসি।
দোকানদার একটু পর এসে চিঠিটা আবিরের হাতে দেয়।

আবির চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকে -

আবির, ভালবাসি বলতে পারি নি।
এনগেজমেণ্ট হয়ে জাওয়া মেয়ের পক্ষে সবচেয়ে কঠিন পরিক্ষা ছিল এটা।
কিন্তু, আমি জানি তুমি আমাকে ভালবেসে ছিলে। হয়তো লজ্জায় বলতে পারো নি। যদি বলতে পারতে তাহলে আমার জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো।
কেন বলতে পারলে না ?
তুমি এতো ভীতু কেন আবির?
একটিবার যদি বলতে তাহলে তোমার হাত ধরে পৃথিবীর যেকোনো যায়গায় পালাতে পারতাম আমি। শুধু একটিবার কেন হাতটা বাড়ালে না।
এতো স্বপ্ন তবে কেন দেখিয়েছিলে?
জীবন আসলেই অনেক অদ্ভুত , তার চেয়ে অদ্ভুত আসলে আমরা নিজেরাই।

চিঠিটি পড়তে পড়তে আবিরের চোখজোড়া অশ্রুতে পরিণত হয়ে গেলো।
চিৎকার করে আজ কান্না করতে ইচ্ছে করতেছে আবিরের। কিন্তু কান্না আসছে না। এ যেন এক বোবাকান্না।

মরালঃ আবিরের মতো নিজের ভালবাসা কে কেউ হারাতে দিবেন না প্লিজ।
আমরা চাইনা আর কোন আবির এইভাবে তার ভালবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলুক। তাই কাউকে ভালো লাগলে সেটা মুখ ফুটে বলে ফেলুন। হয়তো সে মানুষটি আপনার কাছ থেকে ভালবাসি শব্দটা শুনার জন্যই অন্যপ্রান্তে অপেক্ষা করে আছে।

Popular Posts