Showing posts with label Hert Tuching. Show all posts
Showing posts with label Hert Tuching. Show all posts

নিরবে নিবৃতে চোখের জল ফেলে আর কারো ইনবক্সে মনের কষ্ট লিখে লিখে রাত পাড় করে

6:15 PM Add Comment


অমি আর মিথিলার মধ্যে অনেক বন্ধুত্ত ।তারপর ও সে মিথিলাকে বলতে পারেনি ,যে সে মিথিলাকে ভালবাসে ।অর জন্মদিন ৭ জুলাই ।সেদিন ছিলও ৭ জানুয়ারি ।

তারপর ও ফেসবুক ে মিথ্যা তারিখ দেখে মিথিলা ভেবেছিলো সেদিন জন্মদিন অমির ।

সে দিন জন্মদিন ছিল না তবু ওকে দেখতে ইচ্ছে করছিল তাই মিথ্যে বলেছিলাম।মিথিলা যথাসময়ে আমার বাসায় এলো। এসেই বিস্মিত হলো। : আর বাকীরা কই? : আমি বললাম বাকীরা মানে? : তোর বন্ধু বান্ধব কেউ আসবে না?

আমি কৌতুকমাখা গলায় বললাম না। : কেন? : কারণ আজ আমার জন্মদিন নয়! তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল! : এই কথা! তা এমনি বললেই হত ।

আমি চলে আসতাম। আমি কত কষ্ট করে নিউমার্কেট থেকে তোর জন্য গিফ্ট কিনলাম... :

কিছু মনে কর না..আমি ভেবেছি এমনি বললে তুই না. বলবি । জন্মদিন তাহলে কবে? ৭ জুলাই । এতদিন ধৈর্য ধরে থাকা সম্ভব না.. তাই জন্মদিনের কথা বললাম : ছয় মাস আগে জন্মদিনের কথা ? : ভালই ত’ হল ।

সবাই জন্মদিনে একটি উপহার পায়। আমি পেলাম দুটি... তাও আবার জন্মদিন না হয়েও.. : দুটি মানে? : একটি তোর হাতে আর একটি তো তুই ।. কোন বদমতলব আছে না কী? মিথিলা হাসলও

অবশ্য তোমার যা বীরত্ব! তোরে দেখলে ফড়িং ও পালায় না..হা হা : তুই আমাকে আমার চেয়ে বেশী চিনিস !!.. তুই খুবই বুদ্বিমতী.... সিরিয়াস কোন বিষয়ে কথা বলবি নিশ্চয়ই...দাঁড়াআগে গিফটের প্যাকেটটা খুলি... : না না ওটা এখন খুলব না... জন্মদিনের উপহার জন্মদিনেই দেখব... : তার মানে ৬ মাস পরে? :

হাঁ... এরপর আমরা অনেক বিষয়ে কথা বললাম। ক’দিনেরই বা আমাদের সম্পর্ক... তবু মনে হয় যুগ যুগ ধরে দুজন দুজনকে চিনি..তবে শুরু থেকে আমরা দুজন দুজনকে নানারকম সারপ্রাইজ দিতাম। আমি ওকে কোন সারপ্রাইজ দিলে ও অবশ্যই আমাকে পাল্টা সারপ্রাইজ দিত। ভুয়া জন্মদিনের ছয় মাস পরের একদিনের কথা.. সে আমাকে ফোন করে বলল যে আগামী মাসেই আমাদের বিয়ে। আমি বললাম তোর বাসা থেকে বলেছে? : না। আমিই ঠিক করলাম আগামী মাসে আমরা বিয়ে করব! : আগামী মাস তো জুন মাস! কত তারিখ? : কোন সমস্যা না হলে ৭ জুলাই ।জন্মদিনে বিয়ে? তোর বাসায় বলেছ? : হাঁ বলেছি। কারো আপত্তি নেই.. : আচ্ছা তাহলে আমার জন্মদিনে কেন? তোর জন্মদিনেও তো করতে পারতে.. : কারণ আছে মশাই...যথাসময়ে জানতে পারবেন! এরপর মোটামুটি জাঁকজমকের মধ্যেই আমাদের বিয়ে হল। বাসর ঘরে ঢুকতেই সে বলল তোমার ভুয়া জন্মদিনের উপহার টা কোথায় রেখেছ? আমি ওয়ার্ড্রব থেকে সযতনে র‌্যাপিং পেপারে মোড়ানো উপহারটি বের করলাম। আজ তোমার সত্যি সত্যি জন্মদিন। আজ না এটি তোমার দেখার কথা! : আজও আমি দুটি উপহার পেলাম। তুমি ইচ্ছে করেই এমনটি করেছ! তাই না! : সে লাজুক হাসি দিয়ে বলল সারপ্রাইজ! আমি ধীরে ধীরে র‌্যাপিং মোড়ানো উপহারটি খুললাম--- এ কী! নববধূর সাজে সজ্জিত তার অসাধারণ একটি ছবি! : তুমি না নিউমার্কেট থেকে গিফ্ট কিনেছিলে? : হ্যাঁ! ছবিটি নিউমার্কেটে তোলা এবং সেখান থেকেই বাঁধাই করে এনেছি.. : তাহলে তুমি আগেই জানতে আমার অরিজিনাল জন্মদিন কবে? : এ আর কঠিন কী? তোমার বন্ধু রিফাত এর কাছে থেকে জেনে নিয়েছিলাম তোমাকে না জানিয়ে..উনাকেও মানা করেছি তোমাকে না বলতে..তুমি যখন ফোন করে বললে যে সেদিন তোমার জন্মদিন তখনই আমার মাথায় আইড়িয়াটি আসে । আমি ধারণা করেছি তুমি উপহারটি সেদিন খুলবে না তাই আজকের এই সত্যিকারের জন্মদিনে বিয়ের আয়োজন! আমি কী বলব! আমি থ!! ভুয়া জন্মদিনের দুটি উপহার যার কোনটিই সেদিন দেখা হয়নি। আজ সত্যিকার জন্মদিনেও দুটি উপহার! পরমূহুর্তেই আমার মনে হল উপহার আসলে কয়টি? একটি না দুটি??

একটু পর ঘুম থেকে উঠলাম আবিস্কার করলাম নিজেকে আসলে স্বপ্ন ছিলও ।মিথিলাকে এতো ভালবাসি যে ঘুমে ও দেখি ।এতোটা ভালবাসি ।মনে মনে ভাব্লাম আহা স্বপ্ন যদি সত্যি হতো !!!কেউ জানেনা কার ইনবক্সে কত কষ্টের কথা লুকিয়ে আছে। কেউ জানেনা সবার অগোচরে একটা হৃদয় কতটা কষ্ট নিয়ে একা দীর্ঘ রাত কাটায়। নিরবে নিবৃতে চোখের জল ফেলে আর কারো ইনবক্সে মনের কষ্ট লিখে লিখে রাত পাড় করে। হয় তার লেখাগুলো এমনিতেই পরে থাকে
নাহয় কেউ শুধুই ভাবলেশহীনভাবে চোখ বুলিয়ে যায়।

অনেক কবিতা ,গল্প ,দুঃখের কাহিনী থাকে । আর প্রাইভেসি থাকে অনলি মি ।

যদি সত্যি সত্যি বিয়ে করতে পারতাম তাকে ।ভাবতে ভাবতেই বন্ধুর কল শুভ জন্মদিন দোস্ত ।সালার বন্ধু গুলো দেখি অনেক ভালবাসে তবে ট্রিট না নিলে কিছু টাকা বাঁচত আর কি !!।

লিখাটা অগোছালো ছিলও যাই হোক আজকে আমার সত্যি সত্যি জন্মদিন ছিলও আমার জন্য একটু দোয়া করবেন ঘটনাটা সত্যি না হলে ও সপ্নে কিন্তু ঠিকই দেখি তবে ছদ্মনাম ব্যাবহার করেছি ।

ভালোই ছিলাম কিন্তু পিসিতে একটা ছবি সামনে চলে আসলো কেমন জানি একটা অনুভুতি আসলো

5:49 PM Add Comment
ভালোই ছিলাম । কিন্তু পিসিতে একটা ছবি সামনে চলে আসলো । কেমন জানি একটা অনুভুতি আসলো ।
আজকে মন খারাপ ... কারণ ছাড়া মন খারাপ ... "কী করলে মন ভাল হবে ??" - এই প্রশ্নটা মন খারাপকে আরো বাড়িয়ে দেয় ... কারণ,ঐ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না !!

কানে ইয়ারফোন দিয়ে কিছুক্ষণ গান শোনার চেষ্টা করলাম । বাইরে চেয়ারে বসে চাঁদটা দেখলাম বেশ কিছুক্ষণ পর সে আবিষ্কার করলাম এক কান থেকে ইয়ারফোন খুলে গেছে ... অন্য কানে কি গান বাজছে, খেয়াল করলাম না !!
একটা জাল ছিড়ে বের হতে পারছি না !!জালটার নাম মায়া ।

কোন একটা অদ্ভূত কারণে কান্না পাচ্ছে না ... কাঁদলে নাকি নিজেকে হালকা লাগে ... কোন কোন "মন খারাপ" শুধুই "মেঘ" সৃষ্টি করে, বৃষ্টি আনতে পারে না !!
আমার মত হাজার হাজার "মন খারাপ" করা মানুষের এই মূহুর্তে একটু দমকা হাওয়া প্রয়োজন ... "মন খারাপ" নামক জাল ছিড়ে বের হওয়ার জন্য ... জমাট বাধা মেঘ থেকে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি ঝরানোর জন্য !!
এই "দমকা হাওয়া" এর খোঁজ . কেউ জানে না !!"আমি ও না ।
আকাশের চাঁদটা অনেক সুন্দর । পরীরা হয় আর ও সুন্দর ।
বারান্দায় বসে চাঁদ দেখছি আসলে আকাশে চাঁদ একটাই ।
আমার মনে শুধু একটা কথায় আসছে I Am Still In Love With You And Waiting For You heart emoticon smile emoticon ।


সত্যি যদি কাউকে ভালবেসে থাকেন তাকে ভালবাসার কথাটা বলে দিন

5:38 PM Add Comment


একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবে মাত্র অনার্স শেষ করেছে শুভ। এখন একটা জব তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়েছে। কারন ফ্যামিলি থেকে টাকা আর কতো নিবে। এই নিয়ে নিজেই নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে প্রতিনিয়ত।
অবশেষে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে একটা জবের জন্য আবেদন করে সে। আজ তার ইন্টারভিউ তারিখ।

আগে থেকেই মোটামুটি ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে শুভ। গতরাতে হালকা স্টাডি করে শুয়ে পড়েছে... আজ সকাল ১০ টায় ইন্টারভিউ টাইম।
ঘুম থেকে ৭ টায় উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলো। তারপর অফিসিয়াল ড্রেস পড়ে বাসা থেকে একটু আগেই বেড়িয়ে পড়লো। কারন, বলা তো যায় না - ঢাকায় যে জ্যাম।
গন্তব্য মতিঝিল।

আজ শুভ কে অন্যরকম সুন্দর লাগছে। পরিচিত টি-শার্ট, জিন্স ছেড়ে ফরমাল ড্রেসে। হাতে ঘড়ি, ধবধবে সাদা শার্ট, কালো রঙের প্যান্ট এক কোথায় বলা যায় অপূর্ব।

যথা সময়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে হাজির শুভ। একে একে সবার শেষেই ডাক এলো শুভর। বলা চলে ভালভাবেই ইন্টারভিউ বোর্ডটা ফেস করেছে শুভ। খুব একটা বেগ পেতে হয় নি। অফিস থেকে জানিয়ে দেয়া হলো যারা যারা চাকরির জন্য নির্বাচিত হবেন, তাদেরকে কন্টাক্ট করে জানিয়ে দেয়া হবে।

অফিস থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো শুভ। পরিষ্কার আকাশ সাথে রোদের তিব্রতাও কিছুটা কমে এসেছে। রাস্তায় হালকা জ্যাম আছে অবশ্য। এই মধ্যেই বাস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার গন্তব্যে। একটা সময় বাস এসে দাঁড়ালো সিটি কলেজ গেটে। বাসে খুব একটা স্পেস নেই। সিট প্রায় সব ব্লক অলরেডি। এমতাবস্থায় হটাৎ অনেকগুলা মেয়ে উঠলো বাসে। ২/৩ জন যদিও সিট পেয়েছে বাকিরা সবাই দাড়িয়েই আছে। মহিলাদের জন্য বরাদ্ধ করা সিটগুলাও খালি নেই। মেয়েগুলা প্রায় শুভর বসার সিটের কাছাকাছি এসেই দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে একটা মেয়েকে দেখে তো শুভর খুব ভালো লেগে যায়। হালকা পাতলা গড়নের মেয়েটি। ইতিমধ্যে মেয়েটির দাড়িয়ে থাকাটা শুভর কাছে দৃষ্টিকটু মনে হচ্ছে। শুভ সিট ছেড়ে উঠতে যাবে এমন সময়ে মেয়েটি শুভ কে অবাক করে দিয়ে বলে - এই যে মিস্টার, কোথায় যাচ্ছেন ??

শুভঃ না মানে-
মেয়েঃ কি মানে মানে করছেন?
শুভঃ না মানে, আপনি এখানে বসুন। আমি বরং দাড়িয়ে থাকি। আমার দাড়িয়ে থাকতে কোন সমস্যা হবে না।
মেয়েঃ আপনাকে উঠতে বলেছি ?? চুপচাপ বসে থাকেন।

কি আর করা - শুভ আবার বসে যথাস্থানে বসে পড়লো।

৫ মিনিট চুপচাপ উভয়েই -
আবার ৫ মিনিট পর মেয়েটি বললো - এই যে আমার ব্যাগটা রাখেন তো একটু, দাড়াতে কষ্ট হচ্ছে তো দেখতে পাচ্ছেন না ?

মেয়েটি এবার বলো উঠলো - আমারও দাড়িয়ে থাকার অভ্যাস আছে, জাস্ট ব্যাগটা রাখতে বলেছি আপনাকে unsure emoticon

এইদিকে বাস তো চলছেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
কিছুক্ষন পর মেয়েটি শুভ কে আরো চমকে দিয়ে তার সেল নাম্বারটা চেয়ে বসলো -

মেয়েঃ এই যে মিস্টার- আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিন তো ??
শুভঃ কেন!!
মেয়েঃ দিতে বলেছি তাই দিবেন।
শুভঃ ভালো যেহেতু লেগেই গেছে দিতে তো সমস্যা নেই ( মনে মনে )।
এই নিন বলে নাম্বারটা দিলো। কিন্তু মেয়েটি তার নাম্বার শুভ কে দেই নি।

মেয়েটি তার গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি। নামার আগে শুভ কে -
মেয়েঃ এই যে শুনেন - আমি একটু এমনই, একটু বেশীই পেইন দিয়েছি আপনাকে।
কিছু মনে করবেন না ।।
শুভঃ আরে নাহ! আমি কিছু মনে করি নি। ইট'স ওকে।

তারপর মেয়েটি শুভর কাছ থেকে তার ব্যাগটি নিয়ে বাই বলেবাস থেকে নেমে পড়লো।

মেয়েটি বাস থেকে নেমে যাবারই পরক্ষনেই শুভর কেমন জানি লাগছে। কি একটা যেন ছেড়ে চলে যাচ্ছে।। কিসের মায়ায় যেন নিজেকে জড়িয়ে পেলেও হারিয়ে ফেলেছে তাকে।

নিজেই নিজেকে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে কেন যে তার নাম্বারটা চাইলাম না। কেন যে তার নামটা পর্যন্ত জেনে নিতে পারলাম নয়া। এসব ভাবতে ভাবতেই শুভ যে কখন তার গন্তব্যে চলে আসছে সেই দিকে খেয়ালই করে নি। হটাৎ হেল্পারের ডাকেই তার ভাবনার পরিসমাপ্তি ঘটলো।

বাস থেকে নেমে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেলো। তারপর বিকেলে হালকা ঘুম দিলো। কি যেন অদ্ভুত চিন্তায় ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। বারবার মেয়েটির চেহারাটাই সামনে ভাসতে লাগলো। কি ক্যায়ারিং ছিল, নিজে সিটে নয়া বসে আমাকেই বসে থাকতে দিলো। এতো ক্যায়ারিং কাউকেই তো লাইফে চাই আমার। এসব চিন্তা এখন তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

হটাৎ শুভর মোবাইলের রিংটোন ভেজে উঠলো। মোবাইল স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে একটা অপরিচিত নাম্বার। শুভ ভাবলো এই বুঝি সেই ফোন দিয়েছে । তারপর আর কালক্ষেপণ নয়া করে সাথে সাথেই ফোনটা রিচিভ করতেই ওপাশ থেকে পুরুষকণ্ঠের আওয়াজ। যে অফিসে আজ ইন্টারভিউ দিয়েছে সেখান থেকেই ফোনটা এসেছে। অফিস থেকে তাকে জানানো হলো তার জবটা হয়ে গেছে। সামনের মাস থেকেই তাকে জয়েন করতে বলেছে। শুভ তো আনন্দে আত্মহারা, যাক এতদিনে নিজের একটা কিছু হইলো। কিন্তু এতো আনন্দের মধ্যেও তার মধ্যে একটা বিষাদের ছায়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। মেয়েটিকে তার মনের কথাটা বলতে নয়া পারা।

৩ দিন পর -

শুভ বসে বসে বই পড়ছে। এমন সময় একটা অজানা নাম্বার থেকে ফোন আসলো।
শুভ ফোনটা রিচিভ করতেই ওইপাশ থেকে ময়ূরকণ্ঠী একজন বলে উঠলো -
কেমন আছেন আপনি ??

শুভঃ কে বলছেন আপনি ?
ময়ূরকণ্ঠী মেয়েটিঃ আমি যেই হইনা কেন! সেটা জানাটা আপনার জরুরি না। আপনি কেমন আছেন সেটাই আমার জানাটা জরুরি।
শুভঃ তার চিনতে আর বিন্দুমাত্র দেরি হলো না কে এই মেয়েটি।
শুভ কান্না এবং খুশির মিশেলে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো - আমি ভালো নেই একদমই frown emoticon কোথায় আছেন এখন আপনি? আপনার সাথে আমার এখনই দেখা করতে হবে।
মেয়েঃ কেন দেখা করতে চান আপনি?
শুভঃ আমি জানি না কেন! তবে এটা জানি আপনার সাথে আমার দেখা না হওয়া পর্যন্ত আমি শান্তি পাচ্ছি না।
মেয়েঃ ওকে বাবা- দেখা করবো তো ! দেখা করবো না তা তো বলি নি।
কখন দেখা করবেন?
শুভঃ এখনই
মেয়েঃ এখনই !!! এখন তো সম্ভব না আমার জন্য।
শুভঃ আমি কিছু জানি না , এখনই আপনাকে আমার সাথে দেখা করতে হবে।
মেয়েঃ আচ্ছা ! আসবো - কোথায় আসতে হবে বলুন?
শুভঃ রবীন্দ্র সরোবরে আসেন। ঠিক আছে?
মেয়েঃ হুম ঠিক আছে। আসেন ।

শুভঃ ওহ! আপনার নামটা প্লিজ!
মেয়েঃ মারিয়া , আপনার?
শুভঃ শুভ! শুভ আমার নাম।

ওকে আসছি আমি , তাহলে দেখা হচ্ছে আপনার সাথে smile emoticon
মেয়েঃ অবশ্যই wink emoticon

তখন বিকেল ৪ টা। শুভ এসে দাড়িয়ে আছে রবীন্দ্র সরবোরে। আজ তার মনের কথা খুলে বলবেই - এটাই তার প্রতিজ্ঞা।

৫ মিনিট পরই মারিয়া এসে হাজির। ঠিক শুভর সামনেই।

মারিয়াঃ এই যে, আমি এসেছি । কেমন আছেন আপনি?
শুভঃ ভালো নেই আমি - সেটা তো বলেছি আপনাকে frown emoticon
মারিয়াঃ কেন ভালো নেই জানতে পারি কি ?
শুভঃ আমি কি যেন হারিয়ে ফেলেছি আর সেখানেই আমার যতো অতৃপ্তটা। প্রতিটাক্ষণ অস্থরতায় কাটছে। কাকে যেন খুব করে চাই, আর সেই মানুষটাকে খুব করে কাছে পেতে ইচ্ছে করে।
মারিয়াঃ কাকে খুব করে চাইছেন শুনি?
শুভঃ আপনাকে !!! আপনাকে ছাড়া আমি জাস্ট কিছু ভাবতে পারছি না। কেন আমার এতো খারাপ লাগবে, কেন এতো মিস করবো হটাত করেই আপানাকে। আমি আপনাকে ভালবেসে ফেলেছি , সেটা কি আপনি বুঝতে পারছেন না ? গত ৩ দিন আমার কাছে ৩ টা যুগের মতো মনে হয়েছে।
মারিয়াঃ না বললে বুঝবো কি করে ?
শুভঃ এখন তো বললাম ।
মারিয়াঃ আমিও একটু সময় নিয়েই দেখলাম আপনার প্রতি আমার ভালবাসা জন্মেছে কিনা। অবশেষে নিজের সাথে যুদ্ধ করে নিজেই হেরে গেলাম। এই কয়দিনে আমিও বুঝতে পেরেছি আমিও আপনাকে ভালবেসে ফেলেছি। তাই তো আর বেশিক্ষণ নিজেকে আটকে রাখতে পারি নি। আপনাকে ফোন দিয়ে দিলাম।

শুভঃ আচ্ছা আমরা কি এখনো আপনি করেই সম্বোধন করবো একে অপরকে?
মারিয়াঃ নাহ! তুমি করেই বলবো।
শুভঃ তুমি, তুমি, তুমি kiki emoticon
মারিয়াঃ kiki emoticon kiki emoticon kiki emoticon

৫ বছর পর - - - -- -- - -- - -- -- - --

হ্যাপি এণ্ডিং ই হয়েছে তাদের। অফিস, সংসার এবং একমাত্র ছেলে নিয়ন কে নিয়ে সুখের সংসার।

একদিন হটাৎ -

শুভঃ জানো মারিয়া !
মারিয়াঃ কি?
শুভঃ তুমি আমার সকল অপূর্ণতা কে পূর্ণ করে দিয়েছ।
আই লাভ ইউ heart emoticon
মারিয়েঃ আর,আমি এতই সোভাজ্ঞবান যে তুমি আমার পূর্ণতা কে আরো অনেকগুন বাড়িয়ে দিয়েছ ।
আই লাভ ইউ টু heart emoticon heart emoticon heart emoticon

মরালঃ প্রতিটা সম্পর্কই হোক নির্মল।
প্রতিটা সম্পর্কেই থাকুক পরস্পরের শ্রদ্ধাবোধ।
প্রতিটা সম্পর্কই পূর্ণতা পাক।

তাই সত্যি যদি কাউকে ভালবেসে থাকেন তাকে ভালবাসার কথাটা বলে দিন। যাকে ছাড়া আপনার লাইফ অপরিপূর্ণ, তাকে নিয়ে বাকিটা লাইফ পরিপূর্ণতায় কাটুক আপনার smile emoticon

Popular Posts