Showing posts with label Break up Story. Show all posts
Showing posts with label Break up Story. Show all posts

নিরবে নিবৃতে চোখের জল ফেলে আর কারো ইনবক্সে মনের কষ্ট লিখে লিখে রাত পাড় করে

6:01 AM Add Comment

অমি আর মিথিলার মধ্যে অনেক বন্ধুত্ত ।তারপর ও সে মিথিলাকে বলতে পারেনি ,যে সে মিথিলাকে ভালবাসে ।অর জন্মদিন ৭ জুলাই ।সেদিন ছিলও ৭ জানুয়ারি ।
তারপর ও ফেসবুক ে মিথ্যা তারিখ দেখে মিথিলা ভেবেছিলো সেদিন জন্মদিন অমির ।
সে দিন জন্মদিন ছিল না তবু ওকে দেখতে ইচ্ছে করছিল তাই মিথ্যে বলেছিলাম।মিথিলা যথাসময়ে আমার বাসায় এলো। এসেই বিস্মিত হলো। : আর বাকীরা কই? : আমি বললাম বাকীরা মানে? : তোর বন্ধু বান্ধব কেউ আসবে না?
আমি কৌতুকমাখা গলায় বললাম না। : কেন? : কারণ আজ আমার জন্মদিন নয়! তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল! : এই কথা! তা এমনি বললেই হত ।
আমি চলে আসতাম। আমি কত কষ্ট করে নিউমার্কেট থেকে তোর জন্য গিফ্ট কিনলাম... :
কিছু মনে কর না..আমি ভেবেছি এমনি বললে তুই না. বলবি । জন্মদিন তাহলে কবে? ৭ জুলাই । এতদিন ধৈর্য ধরে থাকা সম্ভব না.. তাই জন্মদিনের কথা বললাম : ছয় মাস আগে জন্মদিনের কথা ? : ভালই ত’ হল ।
সবাই জন্মদিনে একটি উপহার পায়। আমি পেলাম দুটি... তাও আবার জন্মদিন না হয়েও.. : দুটি মানে? : একটি তোর হাতে আর একটি তো তুই ।. কোন বদমতলব আছে না কী? মিথিলা হাসলও
অবশ্য তোমার যা বীরত্ব! তোরে দেখলে ফড়িং ও পালায় না..হা হা : তুই আমাকে আমার চেয়ে বেশী চিনিস !!.. তুই খুবই বুদ্বিমতী.... সিরিয়াস কোন বিষয়ে কথা বলবি নিশ্চয়ই...দাঁড়াআগে গিফটের প্যাকেটটা খুলি... : না না ওটা এখন খুলব না... জন্মদিনের উপহার জন্মদিনেই দেখব... : তার মানে ৬ মাস পরে? :
হাঁ... এরপর আমরা অনেক বিষয়ে কথা বললাম। ক’দিনেরই বা আমাদের সম্পর্ক... তবু মনে হয় যুগ যুগ ধরে দুজন দুজনকে চিনি..তবে শুরু থেকে আমরা দুজন দুজনকে নানারকম সারপ্রাইজ দিতাম। আমি ওকে কোন সারপ্রাইজ দিলে ও অবশ্যই আমাকে পাল্টা সারপ্রাইজ দিত। ভুয়া জন্মদিনের ছয় মাস পরের একদিনের কথা.. সে আমাকে ফোন করে বলল যে আগামী মাসেই আমাদের বিয়ে। আমি বললাম তোর বাসা থেকে বলেছে? : না। আমিই ঠিক করলাম আগামী মাসে আমরা বিয়ে করব! : আগামী মাস তো জুন মাস! কত তারিখ? : কোন সমস্যা না হলে ৭ জুলাই ।জন্মদিনে বিয়ে? তোর বাসায় বলেছ? : হাঁ বলেছি। কারো আপত্তি নেই.. : আচ্ছা তাহলে আমার জন্মদিনে কেন? তোর জন্মদিনেও তো করতে পারতে.. : কারণ আছে মশাই...যথাসময়ে জানতে পারবেন! এরপর মোটামুটি জাঁকজমকের মধ্যেই আমাদের বিয়ে হল। বাসর ঘরে ঢুকতেই সে বলল তোমার ভুয়া জন্মদিনের উপহার টা কোথায় রেখেছ? আমি ওয়ার্ড্রব থেকে সযতনে র‌্যাপিং পেপারে মোড়ানো উপহারটি বের করলাম। আজ তোমার সত্যি সত্যি জন্মদিন। আজ না এটি তোমার দেখার কথা! : আজও আমি দুটি উপহার পেলাম। তুমি ইচ্ছে করেই এমনটি করেছ! তাই না! : সে লাজুক হাসি দিয়ে বলল সারপ্রাইজ! আমি ধীরে ধীরে র‌্যাপিং মোড়ানো উপহারটি খুললাম--- এ কী! নববধূর সাজে সজ্জিত তার অসাধারণ একটি ছবি! : তুমি না নিউমার্কেট থেকে গিফ্ট কিনেছিলে? : হ্যাঁ! ছবিটি নিউমার্কেটে তোলা এবং সেখান থেকেই বাঁধাই করে এনেছি.. : তাহলে তুমি আগেই জানতে আমার অরিজিনাল জন্মদিন কবে? : এ আর কঠিন কী? তোমার বন্ধু রিফাত এর কাছে থেকে জেনে নিয়েছিলাম তোমাকে না জানিয়ে..উনাকেও মানা করেছি তোমাকে না বলতে..তুমি যখন ফোন করে বললে যে সেদিন তোমার জন্মদিন তখনই আমার মাথায় আইড়িয়াটি আসে । আমি ধারণা করেছি তুমি উপহারটি সেদিন খুলবে না তাই আজকের এই সত্যিকারের জন্মদিনে বিয়ের আয়োজন! আমি কী বলব! আমি থ!! ভুয়া জন্মদিনের দুটি উপহার যার কোনটিই সেদিন দেখা হয়নি। আজ সত্যিকার জন্মদিনেও দুটি উপহার! পরমূহুর্তেই আমার মনে হল উপহার আসলে কয়টি? একটি না দুটি??
একটু পর ঘুম থেকে উঠলাম আবিস্কার করলাম নিজেকে আসলে স্বপ্ন ছিলও ।
মিথিলাকে এতো ভালবাসি যে ঘুমে ও দেখি ।এতোটা ভালবাসি ।মনে মনে ভাব্লাম আহা স্বপ্ন যদি সত্যি হতো !!!কেউ জানেনা কার ইনবক্সে কত কষ্টের কথা লুকিয়ে আছে। কেউ জানেনা সবার অগোচরে একটা হৃদয় কতটা কষ্ট নিয়ে একা দীর্ঘ রাত কাটায়। নিরবে নিবৃতে চোখের জল ফেলে আর কারো ইনবক্সে মনের কষ্ট লিখে লিখে রাত পাড় করে। হয় তার লেখাগুলো এমনিতেই পরে থাকে
নাহয় কেউ শুধুই ভাবলেশহীনভাবে চোখ বুলিয়ে যায়।
অনেক কবিতা ,গল্প ,দুঃখের কাহিনী থাকে । আর প্রাইভেসি থাকে অনলি মি ।
যদি সত্যি সত্যি বিয়ে করতে পারতাম তাকে ।ভাবতে ভাবতেই বন্ধুর কল শুভ জন্মদিন দোস্ত ।সালার বন্ধু গুলো দেখি অনেক ভালবাসে তবে ট্রিট না নিলে কিছু টাকা বাঁচত আর কি !!।

এক সময় আকা বাকা পথে হারিয়ে গেল হিয়া মানুষের মনের ব্যাপারগুলো অনেক জটিল

5:58 PM Add Comment


-হিয়াঃ তারেক,তুমি বুঝতে পারছ না? আমি কি বলছি?

-তারেকঃ না।আমি বুঝতে চাই না

- তুমি না বুঝলেও আমার কিছু করার নেই। আমি সত্যি কথা বলছি। সোজা কথা বলছি।

- আমি বিশ্বাস করব না।

- তোমার অবিশ্বাসে আমার কথা বা ডিসিশন কোনটাই পাল্টাবে না।

হিয়ার মুখের
দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনছে তারেক। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে কথাগুলো। কষ্ট পেতে ভাল লাগে না। তাই অবিশ্বাস করছে কথাটা।

ভালবাসার মানুষের কথা বিশ্বাস করতে হয়। তবে মাঝে মাঝে কিছু অবিশ্বাস বিশ্বাসের পাল্লা ভারী করে।

হিয়ার সাথে ৩ মাসের সম্পর্ক। খুব বেশি সময় তা না। তবুও সম্পর্কটা অনেক গভীর হয়েছে তাদের ।বিশেষ করে এই ভালবাসার সম্পর্কে বেশী ডুবে গেছে তারেক। ভেসে উঠতে পারছে না।

চোখে মুখে কষ্টের ছাপ স্পষ্ট তারেকের। হিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল...

-তারেকঃ তুমি আমার সাথে এতদিন অভিনয় করেছ?

-হিয়াঃ আমি তা বলছি না। তবে আমার নাজিমের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবার পর, খুব হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। যা পাই তাই আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কষ্ট
ভুলে থাকার জন্য। তুমি সে সময়টাতে আমার জীবনে এসেছ।
আমার কষ্ট দুঃখগুলো ভুলিয়ে দিয়েছ। আমি ঐ সময়টাতে তোমাকে অনেক আপন করে নিয়েছিলাম। কোন সময়
যে সম্পর্কটা ভালবাসার দিকে চলে গিয়েছে টের পাইনি। ভালবেসে ফেলেছিলাম ।নাজিমকে ভুলে থাকার জন্য তোমার ভালবাসায় সায় দিয়েছিলাম।কিন্ত ু নাজিম আবার ফিরে আসবে আমি ভাবতে পারিনি। আমি মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম। নাজিম যদি কখনও
ফিরে আসে আমি ওকে পাত্তা দিব না। আমার জীবনে ঠাই দিব না।কিন্তু ও আমার কাছে এসে আবার ভালবাসার কথা বলার
পর আমার ভিতরে কি যেন
হয়ে গিয়েছিল। জানিনা কি। আমি সত্যি দোটানায় পরে গিয়েছিলাম। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি। কিন্তু নাজিম আমার প্রথম
ভালবাসা। আমি ওকে ভুলতে পারছি না। আমি তোমার ভিতর সবসময় নাজিমকে খুঁজেছি। নাজিমের মত করে চেয়েছি। তুমি নাজিমের থেকে অনেক ভাল ছেলে। তবুও আমি পারছি না তারেক।

- তুমি নাজিমকেও ভালবাস, আমাকেও বাসো। আমার সমস্যা নেই।

- এটা সম্ভব না। একটু বাস্তব
হিসেবে দেখ। তুমি যা বলছ তা অসম্ভব। আমার তোমাকে অথবা নাজিমকে যে কোন একজনকেই ভালবাসতে হবে। আর আমার
জানিনা কেন নাজিমের প্রতি ভালবাসাটা বেশি। আমার হুট
করে কাজটা করা উচিৎ হয় নি। প্লিজ তারেক আমাকে মাফ করে দাও। আমি সত্যি চাইনি তোমাকে কষ্ট দিতে। আমরা ভাল বন্ধু হয়ে থাকতে পারি।

একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল তারেক। কিছুই বলার নেই। আটকে রাখার পথ নেই। বুকের ভিতর কষ্ট হচ্ছে খুব। মানুষ তার প্রথম মন থেকে বাসা ভালবাসা ভুলতে পারে না।
হারাতে চায় না। হিয়াও চাচ্ছে না। তারেকও পারছে না। ছেড়ে দিতে। প্রথম ভালবাসা হারাতে। তবুও তারেকআস্তে করে বলল।..

"আমার একটা ইচ্ছা ছিল রাখবে?"
- বল।
- শেষ বার তোমার হাতটা একবার ধরতে দিবে? অল্পও সময়ের জন্য।

হিয়া হাতটা বাড়িয়ে দিল। তারেক ২ হাত দিয়ে হিয়ার ডান হাতটা ধরল। আলতো করে। ধরে রাখার জন্য না। একটু সময় ছুঁয়ে দেখার জন্য। সব ভালবাসা সবাই ধরে রাখতে পারে না। তারেক ভালবাসতে পারে। ধরে রাখতে পারে না।

তারেক একটু হাসি দিয়ে বলল...
- আচ্ছা, ভাল থেক।
আমি যাকে ভালবাসি তাকে পেলে
ভালবাসার মানুষ হিসেবেই পাব। শুধু বন্ধু হিসেবে না। দোয়া করি সুখে থাক।
- আমাকে মাফ করে দিও তারেক।
তুমি ভাল ছেলে। অনেক ভাল।আমি কত খারাপ । তোমাকে কষ্ট দিলাম।আমার পর
যে তোমার জীবনে আসবে সে তোমাকে কখনও কষ্ট
দিবে না দেখো!!! আচ্ছা আমি আসি।

ধীর পায়ে হেটে যাচ্ছে হিয়া যেন
বুকের পাজর ছিরে। আর তার
বোবা অনুভুতি নিয়ে তাকিয়ে আছে তারক।

এক সময় আকা বাকা পথে হারিয়ে গেল হিয়া মানুষের মনের ব্যাপারগুলো অনেক জটিল।
একেক জনের মনের একেক জটিলতা। একেক জনের
একেক রকম, আবেগের পাল্টাপাল্টি। নিজের মনের ব্যাপারগুলো নিজেই হয়ত বুঝে না কেউ।

তারেক আকাশের দিকে তাকাল। আজ মেঘেদের কোন তাড়া নেই। কালো মেঘ, সাদা মেঘ, ধূসর মেঘ। কেউ ঝিম মেরে বসে আছে। কেউ ভেসে যাচ্ছে। একটু
পর বৃষ্টি হবে। মেঘ অদৃশ্য হবে। মেঘের উপর মেঘ থেকে হবে পানির উপর পানি। বৃষ্টির
উপর বৃষ্টি। সব মেঘ ঠিকই বৃষ্টি হয়ে যাবে। কালো মেঘ, সাদা মেঘ, ধূসর মেঘ। কেউ ঝিম মেরে বসে আছে। কেউভেসে যাচ্ছে।
কিন্তু এর সাথে তারেকের
মিলালে চলে না।

তারেক ঝিম মেরে বসে আছে। আর হিয়া চলে যাচ্ছে। ভেসে যাচ্ছে। তারেকের বৃষ্টি ঝরছে। চোখ থেকে। হিয়া বৃষ্টি ঝরাচ্ছে না। ভেসে যাচ্ছে। ও অন্য কোথাও ঝরাবে।

একটা ছেলের কাছে তার মা যে কতবেশি স্পেশাল তা আর কেউ বুঝবে না

5:39 PM Add Comment


একটা ছেলের কাছে তার মা যে কতবেশি স্পেশাল তা আর কেউ বুঝবে না।

মা এমন একজন যারা কাছে তার ছেলে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা অনুভব করে।মা এমন একজন যিনি কখনই নিজের কথা ভাবেন না।

তার চিন্তা ভাবনা সবকিছু ঘিরে শুধুই তার সন্তান।মার তুলনা কারো সাথে করা যায় না।আপনি যত বড়ই হোন না কেন আপনার মার কাছে আপনি ছোটই থাকবেন।
মার কাছে আপনি সেই খোকা বাবু ।

আমাদের সব চাইতে প্রিয় মানুষ হওয়া দরকার মা ,বাবা ।ঘর থেকে বের হওয়ার সব সময় তারা আমাদের বার বার জিঙাসা করবে, কিছু কি পেটে পড়ছে ?যার কারণে না খেয়ে ঘর থেকে বের হতে পারি না।

জানে আমার বাসায় ফিরতে দেরী হবে তারপরও বার বার কল করবে।রোদে তাকাইতে কষ্ট হবে তার জন্য যিনি আমার সানগ্লাসটাও কিনে আনবে।

কারণ প্রতিটা পদে পদে তারা আমাদের বিশ্বাস করছেন,অনুপ্রেরণা দেন।আমরা জানি পৃথিবীর শুধু এই দুইটা মানুষের বুকে আমরা সব চেয়ে বেশি নিরাপদ ।
আসলে প্রতিটা সন্তান তাদের মা ,বাবাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু মুখ ফুটে বলে না । মা দিবস ,বাবা দিবস এগুলো আমাদের সৃষ্টি । মা ,বাবাদের জন্য কোন নিদিষ্ট দিন থাকে না ।
মা ,বাবা ২ জনকে অনেক ভালোবাসি ।প্রতিটা সন্তানের উচিৎ মা ,বাবাকে ভালোবাসা ।
মা , বাবা ।আগামি পরশু বাবা ,মার ২০তম বিবাহবার্ষিকী তাই মন চাইলো লিখলাম ।
সৃষ্টিকর্তা ভালো রাখুক তাদের ।

নিশা মুচকি হেসে হাতটা ধরে হাঁটতে লাগলো অজানা গন্তব্যের দিকে...

5:35 PM Add Comment

- অ্যাই! আমার সাথে রিকশায় উঠলে তুমি অমন হাত গুটিয়ে কোণায় গিয়ে গুটিসুটি হয়ে বসে থাক কেন?
~ তো হাত না গুটিয়ে রাখলে কোথায় রাখবো?
- এটাও তোমাকে শিখিয়ে দিতে হবে নাকি?
~ ওহ! তাহলে হুড তুলে দিবো?
- অসভ্য কোথাকার! হুড তুলবা কেন? আসো আমার হাত ধরো।
~ না ধরবো না, তোমার পাউডার উঠে যাবে।
- ফাইজলামী করতেসো আমার সাথে? কোথায় পাউডার দিলাম, আমিতো এমনিতেই ফর্সা।
~ তো ফর্সা হইসো তো কি হইসে, সপ্তাহে একবার ঘর থেকে বেরুলে সবাইই এমন ফর্সা হতে পারে।
- অ্যাই! আজকে আমার চুলগুলা দেখসো? তুমি বলাতে খুলে রাখসি। দেখো দেখো, বাতাসে উড়তেসে...
~ হুম দেখলাম তো, জটলাগা লাল চুল বাতাসে উড়তেসে আর কালো কালো উঁকুনের দল ঝরে ঝরে পড়তেসে।
- ইশশ, কোথায় তুমি উঁকুন দেখলা? কাল কত কষ্ট করে চুল আয়রন করাইসি তোমার মুখে এই কথা শুনার জন্যে?
~ ওহ, এটা আয়রন করা চুল? আমিতো ভাবসিলাম আলগা লাগাইসো!
- আচ্ছা, এই কালো শাড়ীতে আমাকে কেমন দেখাচ্ছে সত্যি করে বলোতো, তোমার কথামত শাড়ী পরতে গিয়ে আমার পুরো একঘন্টা লাগসে।
~ হুম, শাড়ী ঠিকই আছে, কিন্তু শাড়ীর ভিতরের মেয়েটাকে শাড়ীর সাথে ঠিক মানাইতেসে নাহ। কেমন খাপছাড়া খাপছাড়া...
- উফফ আমার কোন কিছুই কি তোমার পছন্দ না?
- নাহ একদম না। এমন কেন হবে? আমি কি তা বলেছি নাকি?
- তোমার সাথে আমি কোথাও যাব না। এই মামা থামেন তো।
- এই মামা আপনি থামবেন না।
- মামা বলছি না থামেন।
- মামা থামবেন না।
- মামা থামো।
- মামা থামবে না। চুপচাপ চালাও।

অবশেষে রিকশাওয়ালা মামা থামল। এইরকম বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য রিক্সাওয়ালা থমকে দাড়ালো।
- মামা, আফনেরা নাইমা ঝগড়া করেন, আমি আফনেগ লিয়া যাইবার পারুম না।

নিশা আর নিরব দুই জন দুজনার দিকে তাকিয়ে নেমে পরল। মামা চলে যাওয়ার পর অট্টহাসিতে মেতে উঠলো।
নিশা- "গেল তো চলে এখন কি করব?
"নিরব- "কি আর করবা এই অধমের হাত ধরে হাঁট !!"

নিশা মুচকি হেসে হাতটা ধরে হাঁটতে লাগলো অজানা গন্তব্যের দিকে...

আসলে ব্রেকআপ মানেই কি সম্পর্কের পরিসমাপ্তি?

5:34 PM Add Comment

Break Up !! 

৭ টি অক্ষর। অথচ মাঝে মাঝে কতই না বেদনাদায়ক হয় ভাবতেই কেমন যেন লাগে। 

- আসলে ব্রেকআপ মানেই কি সম্পর্কের পরিসমাপ্তি? 

নাহ!! ব্রেকআপ মানেই সম্পর্কের পরিসমাপ্তি নয়!
কিছু কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে ব্রেকআপ না হলে তো বুঝাই দ্বায় সম্পর্কটা কতটা গভীর ছিল।

অনেকে কথায় কথায় রিলেশনশিপের ইতি টানেন।
পরে বুঝতে পারেন যে মানুষটির সাথে ব্রেকআপ করেছেন, এই মানুষটা ছাড়া তার জীবন অসম্পূর্ণ।
মাঝে মাঝে এই সম্পর্ক জোড়া লাগে...। তবে সেটা আজীবনের জন্যই। যেখানে কোন খুত থাকে না।

কিন্তু, আবার অনেক সম্পর্কের ইতি আলোর মুখ দেখে না।

কারন , চিরাচরিত সেই ইগো প্রবলেম unsure emoticon
আমরা একজন অপরজনের দিকে চেয়ে থাকি " সে আমার মান ভাঙ্গাবে ,আমি কেন আগে সরি বলবো "

অথচ, সে এটা বুঝে না যে " আপনার একটা "সরি" পারে আপনার সবকিছু আবার সেই আগের মতো করে দিতে। আগের সেই পুরনো তাকে আবার শুধরে নতুন করে ফিরে পেতে। নতুন করে আগের মতো করেই ভালবাসতে।

প্লিজ! ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে যেতে দিবেন না, আগলে রাখুন নিজের নিজের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে।

বেঁচে থাকুক আপনার ভালোবাসা smile emoticon 

Popular Posts